----বউমা এত ইফতারি তৈরি করার কি দরকার বলো তো? শুধু শুধু অপচয় হবে।৩
জন মানুষের এত গুলো ইফতার লাগে না।
বিরক্তির সূরে বললো শাশুড়ী মা
---- কেন অপচয় হবে মা খাওয়ার মানুষের তো অভাব নেই। দেখবেন একটু ও অপচয় হবে না।
--- মেহমান আসবে নাকি? কই আমাকে তো বললে না? কারা আসবে?
--- আপনার ছেলে জানে সে বলেছে বেশি করে তৈরি করার জন্য মেহমান আসবে।
জন মানুষের এত গুলো ইফতার লাগে না।
বিরক্তির সূরে বললো শাশুড়ী মা
---- কেন অপচয় হবে মা খাওয়ার মানুষের তো অভাব নেই। দেখবেন একটু ও অপচয় হবে না।
--- মেহমান আসবে নাকি? কই আমাকে তো বললে না? কারা আসবে?
--- আপনার ছেলে জানে সে বলেছে বেশি করে তৈরি করার জন্য মেহমান আসবে।
ও আচ্ছা। কিন্তু কারা আসবে..... বলতে বলতে রান্না ঘর থেকে চলে গেলেন।
.
.
ইফতারের সময় হয়ে আসছে , কই ছেলেটা তো এখনও আসছে না।
বউমা কল দাও তো কোথায় আছে জিজ্ঞেস করো। মেহমানের ও খবর নাই ওর ও খবর নাই। ছেলেটা যে কখন কি করে বসে।
বউমা কল দাও তো কোথায় আছে জিজ্ঞেস করো। মেহমানের ও খবর নাই ওর ও খবর নাই। ছেলেটা যে কখন কি করে বসে।
--- মা আপনি চিন্তা কইরানতো চলে আসবে তাড়াতাড়ি
ইফতার রেডি করতে করতে বললো মারিয়া।
ইফতার রেডি করতে করতে বললো মারিয়া।
ইফতারের আর কয়েক মিনিট বাকি
সাব্বির এসে হাজির দু হাত ভর্তি বাজার আর সাথে কিছু ছোট পোলাপান।
---- এঁরাই তাহলে আমাদের মেহমান? (দেখেই বুঝলেন এরা পথশিশু)
--- হ্যা মা এরা সবাই রোজা রাখছে?
--- কেউ কেউ একটু বিস্কুট খেয়ে পানি খেয়ে রেখেছে,কেউ শুধু পানি খেয়ে রেখেছে।
আমরা তো কত রকমের খাবার খাই। কিন্তু আমাদের আশেপাশে যে কত অসহায় আছে তা খেয়ালই করিনা আমরা।
সাব্বিরের মায়ের চোখের কোনে পানি দীর্ঘ নিশ্বাস ছেড়ে বললো আজান হচ্ছে সবাইকে নিয়ে ইফতার শুরু কর।
---- এঁরাই তাহলে আমাদের মেহমান? (দেখেই বুঝলেন এরা পথশিশু)
--- হ্যা মা এরা সবাই রোজা রাখছে?
--- কেউ কেউ একটু বিস্কুট খেয়ে পানি খেয়ে রেখেছে,কেউ শুধু পানি খেয়ে রেখেছে।
আমরা তো কত রকমের খাবার খাই। কিন্তু আমাদের আশেপাশে যে কত অসহায় আছে তা খেয়ালই করিনা আমরা।
সাব্বিরের মায়ের চোখের কোনে পানি দীর্ঘ নিশ্বাস ছেড়ে বললো আজান হচ্ছে সবাইকে নিয়ে ইফতার শুরু কর।
সাব্বির সবাইকে নিয়ে ইফতার করতে শুরু করলো
সবার চোখে মুখে আনন্দ।
সবার চোখে মুখে আনন্দ।
ছেলের মধ্যে আলাদা একটা আনন্দের ভাব দেখে হালিমা খাতুনের ও মনটা আনন্দে ভরে গেলো। মনের মধ্যে আনন্দ আর চোখের কোনে অশ্রু ।
ভাবতে লাগলো আল্লাহ আমাকে একটা সোনার টুকরা দিয়েছে সারাজীবন যেন ছেলেটা অসহায় মানুষের পাশে থাকতে পারে আল্লাহ সেই তৌফিক দিক।
--- মা চুপ করে আছেন যে আগে খেয়ে নেন।
ভাবতে লাগলো আল্লাহ আমাকে একটা সোনার টুকরা দিয়েছে সারাজীবন যেন ছেলেটা অসহায় মানুষের পাশে থাকতে পারে আল্লাহ সেই তৌফিক দিক।
--- মা চুপ করে আছেন যে আগে খেয়ে নেন।
---- খাচ্ছিরে মা আজ আমার আনন্দে মনটা ভরে গেলো।
অসহায় মানুষদের না দেখলে বুঝা যায় না তাদের ভিতর কেমন কষ্ট।
দেখো এই ছোট ছোট পোলাপান সামান্য কিছু খেয়েও রোযা রাখছে।
আর,কত মানুষ আছে সুখে আছে তবুও রোজা রাখে না। শরীর কমে যাবে।
--- হ্যা মা। আপনার ছেলে রোজার মাস প্রতি দিন ওদের ইফতার করাবে ইনশা আল্লাহ।
-- আলহামদুলিল্লাহ।
অসহায় মানুষদের না দেখলে বুঝা যায় না তাদের ভিতর কেমন কষ্ট।
দেখো এই ছোট ছোট পোলাপান সামান্য কিছু খেয়েও রোযা রাখছে।
আর,কত মানুষ আছে সুখে আছে তবুও রোজা রাখে না। শরীর কমে যাবে।
--- হ্যা মা। আপনার ছেলে রোজার মাস প্রতি দিন ওদের ইফতার করাবে ইনশা আল্লাহ।
-- আলহামদুলিল্লাহ।
আমাদের আশেপাশে কত অসহায় মানুষ আছে দু বেলা পেটভরে খেতে পায়না। তবুও মানুষের কাছে হাত পাতেনা।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহতায়ালা ঘোষণা করেছেন, ‘ধন-সম্পদ যেন শুধু তোমাদের ধনীদের মধ্যেই আবর্তিত না হয়।’
(সূরা আল-হাশর, আয়াত-৭)
(সূরা আল-হাশর, আয়াত-৭)
ধনীদের অর্থ-সম্পদের ওপর গরিবের যে হক রয়েছে,
পবিত্র কোরআনে তা বারবারই উচ্চারিত হয়েছে,
‘আর তাদের (ধনী লোকদের) সম্পদে অবশ্যই প্রার্থী (দরিদ্র) ও বঞ্চিতদের অধিকার রয়েছে।
‘আর তাদের (ধনী লোকদের) সম্পদে অবশ্যই প্রার্থী (দরিদ্র) ও বঞ্চিতদের অধিকার রয়েছে।
---(সূরা আল-যারিআত, আয়াত : ১৯)
লিখা:- Tania Begum