> জোয়ান অব আর্ক পর্ব ৫
-->

জোয়ান অব আর্ক পর্ব ৫


চিকিৎসালয়ে আনার পর আগুনের ছ্যাক দিয়ে জোয়ানের ক্ষতস্থানের রক্ত বন্ধ করা হলো। লতা-পাতা আর গাছের শেকড়ের ওষুধ তৈরি করে ক্ষতস্থানে লাগিয়ে দিলো হাকিম। জ্ঞান ফিরতে আরও দেরি আছে তার। কমান্ডার রবার্ট বড্রিকট এসে কয়েকবার দেখে গেলেন তাকে। বাইরে তার সৈন্যরা তরবারি চালনার অনুশীলন করছে। বারবার যুদ্ধে হেরে ওরা আজ পরাস্ত, হতাশাগ্রস্ত। মনোবলও আর আগের মতো নেই। বাইরে বসে কমান্ডার বড্রিকট সৈন্যদের অনুশীলন দেখছে, আর ভাবছে, স্বাধীনতার সাধ এ জীবনে পাবেন কি না। জীবনটা কেটে গেল যুদ্ধ করতে করতে। কবে এর অবসান হবে? কবে হারানো ভূখণ্ড ফিরে পাওয়া যাবে?
হাকিম এসে খবর দিলো জোয়ানের জ্ঞান ফিরেছে। কমান্ডার বড্রিকট উঠে ভেতরে গেল। কমান্ডারকে দেখে জোয়ানের চোখ দুটো জ্বলে ওঠলো। আবেগে চোখ দিয়ে জল বের হতে লাগলো।
-কমান্ডার বড্রিকট...' অস্ফুটে উচ্চারণ করে জোয়ান উঠতে চায়লো। কমান্ডার তার কাঁধ ধরে শুয়ে দিতে দিতে বললো,
-শুয়ে থাকো তুমি। তোমার এখন বিশ্রামের প্রয়োজন।
-কমান্ডার বড্রিকট আপনার সাথে আমার কথা আছে। আপনাকেই খুঁজছি দীর্ঘ সময় ধরে।
-আচ্ছা, সব কথা সুস্থ হওয়ার পর শুনবো। তোমার নাম কী?'
-জোয়ান।
-আচ্ছা জোয়ান, খুব দ্রুত তুমি সুস্থ হয়ে ওঠবে।' বলেই উঠে বেরিয়ে গেল কমান্ডার বড্রিকট।
বিশাল অনুশীলন মাঠে সৈন্যরা ঘোড়া আর নিজেদের যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে প্রস্তুত হয়ে আছে। কমান্ডার বড্রিকটও নিজের ঘোড়ায় উঠে বসলো। তারপর সৈন্যদের উদ্দেশ্যে বললো,
-সৈন্যরা, মনোবল শক্ত করো। এবারের যুদ্ধ আমরা অবশ্যই জিতবো। অরলিন্স শহরে ইংরেজদের সংখ্যা আমাদের চেয়ে কম। আমাদের পর্যাপ্ত সৈন্য আর যুদ্ধাস্ত্র আছে। অরলিন্সবাসী আমাদের পথ চেয়ে আছে। ওদেরকে ইংরেজদের হাত থেকে রক্ষা করবো। অরলিন্স শহরকে ইংরেজমুক্ত করবো। আমরাই জিতবো, আমরাই জিতবো।' বলতে বলতে বুকে হাত দিলো কমান্ডার। সৈন্যরাও বুকে হাত দিয়ে গর্জে ওঠলো,
-আমরাই জিতবো, আমরাই জিতবো।'
ভেতর থেকে বের হয়ে এলো তখন জোয়ান। অনেকটা সুস্থ সে এখন। কমান্ডার বড্রিকটের ঘোড়ার কাছে গিয়ে দাঁড়ালো সে। কমান্ডার তার কুশল জিজ্ঞেস করলো,
-জোয়ান, কেমন বোধ করছো তুমি এখন?
-আমি ভালো আছি কমান্ডার বড্রিকট। আমাকেও একটা তরবারি দিন...'
-তরবারি কেন?' ভ্রু কুঁচকে প্রশ্ন করলো কমান্ডার। কিছুটা অবাক হলো সে।
-আমিও যুদ্ধে যাবো আপনাদের সাথে।
-জোয়ান তুমি সুস্থ আছো তো? কী বলছো বুঝতে পারছো?
-আমি ঠিক আছি। আমি আজ তিনটা বছর ধরে আপনার অপেক্ষায় আছি, আমাকে রাজা চার্লসের ঠিকানা দিন। আমি তাঁর কাছ থেকেই অনুমতি নেবো।
-এই মেয়েটা পাগল হয়ে গেছে। এই মেয়েটাকে তার বাবা-মার কাছে পাঠিয়ে দাও।' বলতে বলতে সৈন্যদের নিয়ে চলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিলো কমান্ডার।
-কমান্ডার বড্রিকট, দয়া করে নিরাশ করবেন না আমাকে। আমি বাবা-মা সব ছেড়ে যুদ্ধ করতেই এসেছি।' হাল ছাড়লো না জোয়ান। কমান্ডার বড্রিকট তার দিকে একবার তাকিয়ে সৈন্যদের নিয়ে চলে যেতে লাগলো। জোয়ান চিৎকার করে বললো,
-কমান্ডার বড্রিকট, যে আত্মবিশ্বাস নিয়ে আপনারা যুদ্ধে যাচ্ছেন, সেটা সফল হবে না। অরলিন্সের যুদ্ধে আপনারা হেরে আসবেন।'
ঘোড়া থামালো কমান্ডার। তারপর ঘোড়া ঘুরিয়ে আনলো জোয়ানের পাশে। জোয়ানের দিকে তাকিয়ে বললো,
-আমাদের সৈন্য সংখ্যা ওদের চেয়ে ভারি।
-যুদ্ধ সংখ্যা দিয়ে হয় না কমান্ডার বড্রিকট। যুদ্ধ করতে হয় সাহস আর কৌশল দিয়ে।
-তুমি কি মনে করো আমাদের সাহস আর কৌশল খুব কম? তুমি কি মনে করো তোমাকে সাথে নিলেই আমরা জয়ী হবো?
-সৃষ্টিকর্তা আমাকে যুদ্ধ করতেই পাঠিয়েছেন। ফ্রান্সকে রক্ষা করতে এসেছি আমি।
-এই মেয়েটা নির্ঘাত পাগল হয়ে গেছে। চলো সৈন্যরা।' বলেই আবারও ঘোড়া ঘুরিয়ে নিলো কমান্ডার। পেছন থেকে জোয়ান একই কথা শুনালো,
-অরলিন্সের যুদ্ধে আপনারা হেরেই আসবেন। জয়ী হতে পারবেন না।'
জোয়ানের কথা কানে না নিয়ে চলে গেল কমান্ডার সৈন্য নিয়ে। জোয়ান মনোবল হারালো না। একটা লাঠিকে তরবারি বানিয়ে নিজে নিজেই তরবারি চালনার অনুশীলন করতে লাগলো। পেটের ব্যথাটা বেমালুম ভুলে গেল সে। অথবা মনের দৃড়শক্তিকে শারীরিক ব্যথার কাছে পরাজিত হতে দিতে চায়ছে না সে।
কমান্ডার বড্রিকট সৈন্যদের নিয়ে যখন অরলিন্সে প্রবেশ করলো, তখনও তারা বুঝেনি ওরা ফাঁদে পড়তে যাচ্ছে। ইংরেজরা আগে থেকেই জানতো ওদের আক্রমণের কথা। তাই তারা পূর্ব প্রস্তুতি নিয়েছিল। কমান্ডার বড্রিকট সৈন্য নিয়ে অরলিন্স শহরে প্রবেশ করতেই তীরবর্ষণ হতে লাগলো ওদের উপর। কিছু বুঝে উঠার আগেই নিজেদের বেশ কজন সৈন্য ভূপাতিত হয়ে গেল মুহূর্তেই। চারদিক থেকে ঘিরে ফেললো তাদের ইংরেজ সৈন্যরা। কমান্ডার সৈন্যদের আদেশ দিলো,
-সৈন্যরা, আক্রমণ করো...' বলতে বলতে ঘোড়া থেকে নেমে তরবারি বের করলো কমান্ডার। তাকে অনুসরণ করলো তার সৈন্যরা। চলতে লাগলো তরবারি যুদ্ধ। ইংরেজদের কিছু সৈন্য ওদের সাথে সম্মুখযুদ্ধ করতে লাগলো। আর কিছু সৈন্য, উঁচু ছাদ থেকে তীর ছুড়তে লাগলো ফরাসি সৈন্যদের উপর। তীরের আঘাতে এক এক করে লুটে পড়ছিল ফরাসিরা। অনেকে আহত হচ্ছিল তরবারির আঘাতে। কমান্ডার বড্রিকট বুঝলো জোয়ানের ভবিষ্যতবাণী সত্য হতে যাচ্ছে। পরাজয় খুব নিকটে। তখন কমান্ডার তরবারি চালাতে চালাতে সৈন্যদের আদেশ দিলো,
-সৈন্যরা ফিরে চলো।' বলতে বলতে এক লাফে ঘোড়ায় উঠে বসলো কমান্ডার বড্রিকট। তারপর অবশিষ্ট সৈন্যদের নিয়ে পালিয়ে গেল।
ঘোড়ার শব্দ শুনে জোয়ান দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো দূরে। দেখলো কমান্ডার বড্রিকট ফিরে আসছে সৈন্যদের নিয়ে। তবে সৈন্যদের সংখ্যা তুলনামূলক অনেক কম। হয়তো অনেকেই ইংরেজদের হাতে নিজের প্রাণ বিসর্জন দিয়েছে। কমান্ডার সৈন্য নিয়ে আস্তানায় আসতেই জোয়ানের মুখোমুখি হলো। কমান্ডার কিছু বলার আগেই জোয়ান বলে ওঠলো,
-আমি আগেই জানতাম, এমনটা হবে।
-তুমি কী করে আগে থেকে জানতে আমরা সংখ্যায় ওদের চেয়ে বেশি হয়েও হেরে যাবো?' ঘোড়া থেকে নেমে জোয়ানের মুখোমুখি হলো কমান্ডার।
-আমাকে সৃষ্টিকর্তা জানিয়ে দিয়েছে।
-পাগলের প্রলাপ করো না। সত্যি করে বলো তুমি কে?
-আমি এক সাধারণ মেয়ে, ফ্রান্সের অধিবাসী, এইটুকুই জানি।
-তোমার সম্পর্কে খোঁজ নিয়েছিলাম। শুনেছি তুমি তোমার আশ্রয়দাতা থমাসকেও ভবিষ্যতবাণী করেছিলে। যা পরবর্তীতে সত্য হয়। আমার সন্দেহ হচ্ছে, তুমি আসলে ডাইনি।
-না, কমান্ডার বড্রিকট। আমি ডাইনি নয়। আমি আমার খ্রিষ্ট ধর্মে বিশ্বাসী।
-তুমি ডাইনি নও, তার প্রমাণ কী?
-কীভাবে প্রমাণ দেবো?'
কমান্ডার তার কয়েকজন সৈন্যকো আদেশ দিলো জোয়ানকে বন্দী করে চার্চে নিয়ে যেতে। ওখানে ধর্মীয় যাজকরা যাচাই করে জানাবেন জোয়ান আসলে ডাইনি কি না। কমান্ডারের আদেশ পেয়ে সৈন্যরা বন্দী করলো জোয়ানকে। তারপর তাকে নিয়ে চললো চার্চের উদ্দেশ্যে। জোয়ান বাধা দিলো না ওদের।
চার্চের সামনে ঘোড়া থামালো কমান্ডার বড্রিকট। তার সৈন্যরা আগে থেকেই উপস্থিত ছিল চার্চে। কমান্ডার ঘোড়া থেকে নামতেই সৈন্যরা দাঁড়িয়ে সম্মান জানালো। কমান্ডার জিজ্ঞেস করলো তাদের,
-ধর্মীয় যাজকদের কী অভিমত? জোয়ান কি আসলেই ডাইনি? নাকি সাধারণ মেয়ে?
-এখনও জানায়নি। আমরা অপেক্ষা করছি জানতে।
-ঠিক আছে।' বলে কমান্ডার নিজেও অপেক্ষা করতে লাগলো। বেশ কিছুক্ষণ পর চার্চের ভেতর থেকে কয়েকজন ধর্মীয় যাজক বের হলো জোয়ানকে নিয়ে। জোয়ানের বাঁধন খুলে দেয়া হয়েছে। কমান্ডার বড্রিকট ধর্মীয় যাজকদের দিকে তাকালেন ফলাফল কী জানতে। একজন ধর্মীয় যাজক তখন জবাব দিলো,
-ও ডাইনি নয়। তবে সাধারণ কোনো মেয়েও নয়। অসম্ভব কিছু করার ক্ষমতা তার মাঝে আছে।
-আপনাদের ধন্যবাদ আমাদের নিশ্চিত করার জন্য। আমরা এখন জোয়ানকে নিয়ে যাবো।' বলতে বলতে ঘোড়ায় চড়ে বসলো আবার কমান্ডার। তারপর জোয়ানকে সাথে নিয়ে ফিরে চললো।
অবশেষে জোয়ানের প্রতি কমান্ডার বড্রিকটের ভ্রান্তি ভাঙলো। জোয়ানের উপর তার ভরসা ধীরে ধীরে বাড়তে লাগলো। সেই ধর্ম যাজকের কথা মনে পড়লো তার, যিনি বলেছিলেন, এই ফ্রান্স রক্ষা করবে এক কিশোরী মেয়ে। বিষয়টা গভীরভাবে ছাপ ফেললো কমান্ডারের মনে? তবে কি জোয়ানই সেই কিশোরী?
একদিন জোয়ানকে নিয়ে সে হাজির হলো রাজা চার্লসের সামনে। জোয়ানও অপেক্ষা করছিল এই দিনটির জন্য। অনেক কাঙ্ক্ষিত একটি দিন। এবার হয়তো তার সময় হয়েছে শত্রুদের বিপক্ষে যুদ্ধ করার। তরবারির আঘাতে শত্রুর মাথা নেয়ার। কিন্তু জোয়ানকে হতাশ করে রাজা চার্লস বলে ওঠলেন,
-একটা কিশোরী মেয়েকে আমি যুদ্ধে নিতে পারি না। যেখানে আমার হাজার হাজার প্রশিক্ষিত সৈন্য পরাজিত হচ্ছে, সেখানে এই কিশোরী মেয়েটা আমাদের কী উদ্ধার করবে?'
-দৌপিন, আমি প্রথমে এটাই ভেবেছিলাম। কিন্তু ধীরে ধীরে ওর প্রতি আমার বিশ্বাস জন্মেছে।' মাথা নিচু করে বললো কমান্ডার বড্রিকট।
-কী বলছো তুমি বুঝতে পারছো কমান্ডার বড্রিকট?' চার্লসের কণ্ঠ রুক্ষ শুনালো। তখন কমান্ডার একজন ধর্মযাজককে হাজির করে, যিনি ফ্রান্স সম্পর্কে ভবিষ্যতবাণী করেছিলেন। ধর্মযাজক জোয়ানকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেন কিছুক্ষণ। তারপর চার্লসের সামনে দাঁড়িয়ে বললেন,
-দৌপিন, আমি নিশ্চিত, এই সেই মেয়ে যার হাতে ফ্রান্সের ভবিষ্যত। এই মেয়েই পারবে ফ্রান্সকে রক্ষা করতে।'
এবার চার্লস কিছুটা নরম হয়ে বললেন,
-কিন্তু আমি কী করে তাকে যুদ্ধের অনুমতি দিতে পারি? মেয়েদের যুদ্ধে অংশ নেয়ার অনুমতি নেই।
-তাকে মেয়ের বেশে নয়, ছেলের বেশেই আমরা যুদ্ধে নিয়ে যাবো।' বলে ওঠলো কমান্ডার।
-মানে?' ভ্রু কুঁচকালো চার্লস।
-মানে তার চুল ছোট করবো। গায়ে পরাবো ছেলেদের যুদ্ধ পোশাক।
-বেশ, তাই হোক। এতে যদি ফ্রান্সের উপকার হয়, তবে আমার বাধা দেয়ার অধিকার নেই। তাকে নিয়ে যাও, পুরুষদের মতো সজ্জিত করো।
-যথা আজ্ঞা, দৌপিন।' বলেই কমান্ডার বড্রিকট জোয়ানকে নিয়ে বেরিয়ে গেল।
দ্বিতীয়বার যখন জোয়ানকে রাজা চার্লসের সামনে হাজির করা হলো, তখন তার চুল ছেলেদের মতো ছোট করা হয়েছে। গায়ে ছেলেদের মতো যুদ্ধ পোশাক। দেখে মনে হয় না, জোয়ান আসলে একটা মেয়ে। কিছুক্ষণ খুঁটিয়ে দেখলেন চার্লস তাকে। তারপর নির্দেশ দিলেন,
-জোয়ানকে যথাযথ প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রস্তুত করো। যেদিন সে প্রশিক্ষণ শেষ করে সম্পূর্ণ উপযুক্ত হবে যুদ্ধের জন্য, সেদিন তার নেতৃত্বে আমি সৈন্য পাঠাবো যুদ্ধ করতে।'
রাজার কথা শুনে হাসি ফুটলো জোয়ানের মুখে। অবশেষে তার কষ্ট সার্থক হতে যাচ্ছে। সে প্রশিক্ষণ নিতে প্রস্তুত।
সাল ১৪২৯।
জোয়ান পরিপূর্ণ এক যোদ্ধা। প্রশিক্ষণ শেষ করেছে সে। ইতোমধ্যে সে তার সাহস এবং যুদ্ধ কৌশল দেখিয়ে সবাইকে মুগ্ধ করেছে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে। যেমন সাহসী সে, তেমনি তেজি আর দুর্ধর্ষ। রাজা চার্লস তার প্রতি অধিক ভরসা করতে শুরু করলেন। একদিন তিনি জোয়ানকে ডেকে পাঠান। জোয়ান হাজির হলে নিজেই তাকে একটা সাদা যুদ্ধ পোশাক আর একটা সাদা ঘোড়া উপহার দেন। জোয়ান হাসিমুখে তা গ্রহণ করে। তারপর চার্লস একটা পঞ্চক্রুশধারী তরবারি জোয়ানের হাতে তুলে দিয়ে বলেন,
-আজ থেকে তুমি সৈন্যদের নেতৃত্ব দেবে যুদ্ধক্ষেত্রে। যে অরলিন্সে যুদ্ধ করে আমাদের সৈন্যরা বারবার হেরে এসেছে। তোমার মাধ্যমে সেই অরলিন্সের পুনরুদ্ধার চাই। চার হাজার সৈন্য তোমার সাথে থাকবে। তুমি চার হাজার সৈন্যের নেতৃত্ব দেবে। আমাদের হারানো ভূখণ্ড এক এক করে বিজয় করো হে আমার সাহসী।
-যথা আজ্ঞা দৌপিন। আমি শীঘ্রই রওনা করবো সৈন্যদের নিয়ে।'
মৃদু হাসলেন চার্লস। জোয়ান কুর্নিশ করে বেরিয়ে গেল।



চলবে...




লেখা: ShoheL Rana
 

Delivered by FeedBurner

a